সাতক্ষীরায় করোনা আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আব্দুল মান্নান নামের একজন শিক্ষক ও উপসর্গ নিয়ে গুরু চন্দ্র দাশ ও আতাউর রহমান নামের আরো দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আব্দুল মান্নান আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায়, গুরু চন্দ্র দাশ সকাল ৯টায় ও আতাউর রহমান বুধবার বেলা ১২টার দিকে মারা যান।
করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া শিক্ষক আব্দুল মান্নান মাস্টার (৩৬) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বড়খামার গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া গুরু চন্দ্র দাশ (৬৫) তালা উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামের ছত্রধার দাশের ছেলে এবং আতাউর রহামন (৩৫) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ছয়ঘোরিয়া গ্রামের ইসমাইলের ছেলে। হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ৭ জুলাই সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভতি হন মাস্টার আব্দুল মান্নান। ১৪ জুলাই তার করোনা রির্পোট পজেটিভ আসে। হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে মারা যান তিনি।
এদিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে ১৫ জুলাই মডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভতি হন গুরু চন্দ্র দাশ। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে তিনি মারা যান। এছাড়া একই ধরনের উপসর্গ নিয়ে ১২ জুলাই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন অতাউর রহামন। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এখনো রির্পোট আসেনি। সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বেলা ১২টার দিকে মারা যান তিনি।
সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: রফিকুল ইসলাম মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উপসর্গে মৃত গুরু চন্দ্র দাশের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে গুরু চন্দ্র দাশের মৃতদেহ সৎকার ও আব্দুল মানান এবং আতাউর রহমানের মৃতদেহ দাফনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
Leave a Reply